ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চার মেয়ের কাঁধে বাবার লাশ, করোনা আতঙ্কে এলো না কেউ

অনলাইন ডেস্ক ::
করোনাভাইরাস যেন পুরো বিশ্বকেই বদলে দিয়েছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের আচরণও। সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারানোর ভয়ে কমে যাচ্ছে মানবিক বোধও। সেজন্যই কিনা বিশ্বের নানা প্রান্তে এখন নানা হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে।

যেমনটি ঘটল ভারতের উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ শ্মশানে নিতে কেউ এগিয়ে এলো না। শেষ পর্যন্ত শোকাহত চার মেয়েই বাবার লাশ কাঁধে তুলে নিয়ে গেছে শ্মশানে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার (৪৫)। উত্তর প্রদেশের আলীগড়ের বাসিন্দা সঞ্জয় পেশায় চা বিক্রেতা ছিলেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে- যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনোরকমে নিজের রোগ সারতে চাইছিলেন তিনি। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে, চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরে বসা।

সম্প্রতি সঞ্জয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে পুরো ভারতজুড়ে ঘোষিত ‘লকডাউনে’ সরকারি হাসপাতালে ওষুধ মিলছিল না তার। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াও সম্ভব ছিল না সঞ্জয়ের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত প্রাণটাই গেল তার।

যক্ষ্মা রোগে মারা গেলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিকটাত্মীয় বা স্বজন কেউই সঞ্জয়ের সৎকারে এগিয়ে আসেননি। বাবার শোকে বিমূঢ় চার মেয়েই শেষে বাধ্য হয়ে লাশ কাঁধে নেয়। কাঁদতে কাঁদতেই লাশ নিয়ে যায় শ্মশানে। তারাই সারে শেষকৃত্য।

এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা চলছে। সাধারণ লোকজন করোনাভাইরাস আতঙ্কে ‘সামাজিক দূরত্ব’ দেখালেও প্রশাসন কী করেছে, এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই

 

পাঠকের মতামত: